লিভার ক্যান্সার কী, এর লক্ষন ও প্রতিকার ।
লিভার
ক্যান্সার কী, এর লক্ষন ও প্রতিকার ।
লেকচারার,ডাঃ
এম এইচ মোহন
মানব দেহের অতীব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল লিভার (যকৃত)। দেহকে সুস্থ্য ভাবে কার্যক্ষম রাখার জন্য এই লিভারকে অনেক কাজ করতে হয় যেমন খাদ্য হজম করতে, গ্লাইকোজেনের সঞ্চয়, প্লাজমা প্রোটিন সংশ্লেষণ, ঔষুধ বা অন্যান্য রাসায়নিক নির্বিষকরণ, পিত্তরস উৎপাদন, রক্ত পরিস্রুত করণ ইত্যাদি। উল্লেখিত কাজ ছাড়াও লিভার দেহের আরও কিছু জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এক কথায় বলতে গেলে লিভার হলো মানব দেহের একটি পাওয়ার স্টেশন যার সুস্থতার উপর আমাদের দেহের অন্যান্য অনেক কিছুই নির্ভর করে।
লিভার সুস্থ্য রাখতে লিভারের জটিল রোগসমূহ সম্পর্কে আমাদের সবার সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন কারন লিভারের রোগের লক্ষণাদি সহসাই প্রকাশ পায় না এমন কি লিভারের এগারো ভাগের একভাগ অংশ ও যদি ভালো থাকে তবে সে অবস্থাতেও লিভারের রোগ প্রকাশিত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই আমাদের খুব ভাল করে এর যত্ন, রোগ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার। তাই এর গুরুত্ব অনুধাবন করে আমাদের দেশে যে সব লিভারের জটিল রোগ হয়ে থাকে সেই সব রোগ এর লক্ষণ, প্রতিরোধে ও চিকিৎসায় করণীয় সম্পর্কে আমাদের
জানতে হবে ।
লিভার ক্যান্সার
ক্যান্সার মানেই তো আতঙ্ক আর তা যদি হয় লিভারের মত দেহের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে তাহলেতো কথাই নেই। গবেষনায় প্রমানিত, এদেশে ক্যান্সারে মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ লিভার ক্যান্সার। বিশ্বব্যাপি লিভার ক্যান্সারের মূল কারণ হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস আর এ্যালকোহল। আমাদের দেশে অবশ্য হেপাটাইটিস বি আসল খলনায়ক, কারণ এদেশে প্রায় ৮০ লক্ষ লোক এ ভাইরাসের বাহক বা HBsAg পজেটিভ। হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত ৫ থেকে ১০ শতাংশ লোক জীবনের কোন এক পর্যায়ে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ
যে কোন বয়সের লোকই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। লিভার ক্যান্সারের ঝুকি পুরুষদের ক্ষেত্রে মহিলাদের চেয়ে ৪ থেকে ৬ গুণ বেশী। সাধারণতঃ ক্যান্সার হওয়ার আগে লিভারে সিরোসিস দেখা দেয়, তবে এর ব্যতিক্রম হওয়াটাও অস্বাভাবিক না। লিভার ক্যান্সারের রোগীরা প্রায়ই পেটের ডান পাশে উপরের দিকে অথবা বুকের ঠিক নীচে মাঝ বরাবর ব্যথা অনুভব করেন যার তীব্রতা রোগী ভেদে বিভিন্ন রকম। সহজেই ক্লান্ত হয়ে পরা, পেট ফাপা, ওজন কমে যাওয়া আর হালকা জ্বর জ্বর ভাব এ রোগের অন্যতম লক্ষণ। লিভার ক্যান্সার রোগীদের প্রায়ই জন্ডিস থাকে না, আর থাকলেও তা খুবই অল্প। রোগীদের খাওয়ায় অরুচি, অতিরিক্ত গ্যাস কিংবা কষা পায়খানার উপসর্গ থাকতে পারে- আবার কখনো দেখা দেয় ডায়রিয়া। পেটে পানি থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে।
লিভার ক্যান্সারের চিকিৎসা ও করণীয়
লিভার ক্যান্সার নির্ণয়ে সহজ উপায় একটি নির্ভরযোগ্য আল্ট্রাসনোগ্রাম। তবে কখনো কখনো সিটি-স্ক্যানেরও দরকার পরে। রক্তের AFP পরীক্ষাটি লিভার ক্যান্সারের একটি মোটামুটি নির্ভরযোগ্য টিউমার মার্কার। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত যে কোন ব্যক্তিরই উচিত প্রতি ৬ মাসে একবার AFR ও আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করা। তবে লিভার ক্যান্সারের ডায়াগনোসিস কনফার্ম করতে হলে আল্ট্রাসনোগ্রাম গাইডেড FNAC অত্যন্ত জরুরি আর অভিজ্ঞ হাতের সাফল্যের হারও প্রায় শতভাগ। এখানেই শেষ নয়, বরং শুরু। শুরুতে ধরা পরলে আর আকারে ছোট থাকলে এই টিউমার লিভার
থেকে দূরকরতে হোমিও ঔষধের দ্বারা সম্ভব । লিভার
ক্যান্সারে কিছু ঔষধের নাম নিচে দেওয়া হল ।
Calcarea Arsenica
Phosphorus
Arsenicum
Album
Aurum
Metallicum
Calcarea
Carbonica Hahnemanii
Calcarea
Iodatum
Chelidonium
Majus
Cholesterinum
Hydrastis
Canadensis
Iodium
Kreosotum
Laurocerasus
Officinalis
Lycopodium
Clavatum
Manganum
Aceticum
Mercurius
Solubilis Hahnemanni
Myrica
Cerifera
Nitricum
Acidum
Strychnos
Nux-vomica
Picricum
Acidum
Podophyllum
Peltatum
Senecio
Aureus
Sepia
Officinalis
Silicea
Sulphur
Cadmium
Arsenicosus
Cadmium
Sulphuratum
Carduus
Marianus
Natrum
Sulphuricum
Sclopendrium
Vulgare
Sicarius
Albospinosus
হোমিওপ্যাথ
কনসালটেন্ট
ডাঃএম
এইচ মোহন
লেকচারার,চাঁদপুর
হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন