কলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুন

কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। এতে শর্করা, আমিষ, ভিটামিন ও খনিজ লবণের সমন্বয় রয়েছে। কলায় শর্করা, সামান্য আমিষ, কিঞ্চিত ফ্যাট, পর্যাপ্ত খনিজ লবণ ও যথেষ্ট আঁশ আছে। খনিজ লবনের মধ্য আছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও লৌহ। কলায় ভিটামিন এ, বি ও কিছু ভিটামিন-সি আছে। একটি কলা প্রায় ১০০ক্যালরি শক্তির জোগান দেয়। কলায় আছে সহজে হজমযোগ্য শর্করা, যা শরীরে দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে ক্লান্তি দুর করতে সহায়ক। কলা হজমে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটি বা গ্রাস্টিক আলসারের রোগীরা কলা খেতে পারেন উপকারী ভেবে। পাকা নরম কলা অ্যাসিডিটি নিরাময়ে সক্ষম। পাকস্থলীর আবরনীতে নরম কলার প্রলেপ আলসারের অস্বস্তি ওকমায়। অ্যাসিডিটির জন্য বুক জ্বালা কমাতেও কলা সহায়ক। কলা যেমন কোষ্টকাঠিন্য দুর করে,তেমনি পাতলা পায়খানাও উপকারী। বাতের ব্যথার জন্য কলা উপকারী। কলা লৌহ রক্তের হিমোগ্লোবিন তৈরীতে কাজে লাগে। কলা তাই রক্তশূন্যতায় ও উপকারী সবশেষে কলা রক্তচাপ কমাতে সহায়ক এবং স্ট্রোক প্রতিরোধে ও কার্যকরী কলার থোড় বা মোচা এবং শিকড় ডায়াবেটিস, আমাশয়, আলসার, পেটের পীড়া নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়।
আনাজী কলা পেটের পীড়ায় আক্রান্ত রোগীর পথ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। পাকা বীচিকলার বীজ কৃমিনাশক।
কলাতে থাকা পর্যাপ্ত পরিমানে খাদ্যআঁশ হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। খাবার সহজে হজম করে সুস্থ জীবন যাপনে প্রতিদিন একটি করে কলা খেতে পারেন।
রক্তের হিমোগ্লোবিন ও ইনসুলিনের জন্য প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-বি৬ প্রয়োজন। কলাতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি৬ আপনার শারীরিক সে চাহিদা পুরণ করতে সক্ষম।
প্রতিদিন ৩টি করে কলা খেলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলা রাখুন, দেখবেন রক্তচাপ আপনার নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।
প্রতিদিন সকালে ব্যায়াম করার আগে ২ টি কলা খেয়ে নিন। এটি আপনার দেহের রক্তে শর্করার পরিমান ঠিক রাখবে এবং ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রণ করবে।
কলাতে থাকা প্রচুর পরিমাণে আয়রন দেহের রক্ত শূন্যতা দূর করতে কার্যকরী।
কলা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, কলা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরার অনুভূতি দিয়েথাকে। ফলে বাড়তি খাবার খাওয়ার রুচি ও আগ্রহ থাকে না, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।
এক গবেষণায় বলা হয়েছে আঁশযুক্তখাবার কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে থাকে। প্রতিদিন কলা খান আর হৃদরোগ থেকে দূরে থাকুন।
শরীরের পেশির সুস্থতার জন্যও কলা বেশ উপকারী। ব্যায়ামের আগে কিংবা পরে কলা খান এটি আপনার পেশীর সমস্যা দূর করবে এবং পায়ের মজবুত পেশী গঠনে সাহায্য করে।
কলাতেও কিছু পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এছাড়া প্রয়োজনীয় অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় কলা থেকে। চর্মরোগ প্রতিরোধ, ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এর তুলনা হয় না।
কলাতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগসিয়াম আছে যা বিষণ্ণতা দূর করতে সাহায্য করে। আমরা অনেক সময় বিভিন্ন করাণে বিষণ্ণতায় ভুগে থাকি। এই বিষণ্ণতা দূর করতে কলা অনেক বেশি কার্যকরী।
কলা দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। কলাতে প্রচুর পরিমাণের ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল আছে যা দেহের এনার্জি লেভেল ঠিক রেখে শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। তাই প্রতিদিন নাস্তায় থাকা চাই ১টি কলা।
কলাতে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম আছে যা মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবারহ করে থাকে। এটি দেহের পানির পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে।

        ডাঃ এম এইচ মোহন
লেকচারার, চাঁদপুর হোমিও প্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
         বি বি এস ( এন.ইউ)
       ডি এইচ এম এস (ঢাকা)
  এক্সপার্ট ইন হারবাল মেডিসিন।
দূরারোগ্য জটিল রোগের চিকিৎসক।
  (বি এইচ বি)গর্ভঃ রেজিঃনং 26231

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পেয়ারা উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

মিসক্যারেজ বা অকাল গর্ভপাত কী?

জরায়ু ক্যান্সার কী, এর কারন,লক্ষন ও প্রতিকার কী ? ডাঃ এম এইচ মোহন